The real world is here... for the imagination go there Figments of Imagination

Friday, August 9, 2013

Ordinary man

আমরা বাঙালি জাতি । তা  থেকেই এস না কেন । বা  যেখানেই থাক না কেন । তুমি বাঙালি । কিন্তু বাঙালিরা তা ভুলে যায় প্রতিদিন, প্রতিনিয়ত । তারা নিজেদের ক্ষুদ্র পরিচয়ের সৃষ্টি করে । ঘটি, বাঙাল, কামতাপুরি, এই জেলার, সে জেলার । তারপর এই গ্রাম সে গ্রাম । যেখানে জার্মানরা বার্লিন এর দেয়াল ভেঙ্গে দেশ জুড়ে দিল । সেখানে বাঙালি কিভাবে বাংলা ভাগ ব্যস্ত । হায় রে বাঙালি, তুই রইলি বাঙালি হয়ে - মানুষ হলি না । অথচ এই বাংলাতেই জন্মেছিলেন শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভু -  যিনি জাতপাত সব ধুলোয় মিশিলে দিয়েছিলেন । লালন ফকির তো এই বাংলারই । এই বাংলাতেই তো বাউল এর জন্ম । রবীন্দ্রনাথ, নজরুল  - যারা সব বাঙালির আপনজন, সে হিন্দু হোক বা মুসলিম, ঘটি হোক বা বাঙাল, উত্তরবঙ্গের হোক বা দক্ষিনবঙ্গের ।তারা তো আমাদের  অনুপ্রেরণা হতে পারত । শুধু তাদের জন্ম আর মৃত্যু দিবস পালন না করে আমরা তো তাদের  করতে পারতাম । কিন্তু পারিনি । কেন ?

এই কেনর উত্তর খুঁজতে গেলে বাঙালির ইতিহাস  পড়তে হবে । জানতে হবে সত্যি আমরা বাঙালি কে যা ভাবছি আসলে কি তারা সেটুকুই । নাকি শুধু কলকাতা আর ঢাকার মানুষের চরিত্র বিশ্লেষণ করে আমরা গোটা বাংলার চরিত্র জানার চেষ্টা করছি । কলকাতার চেহারা কি গত পশ্চিমবঙ্গের চেহারা ? শিলিগুড়ির চেহারা কি গত উত্তরবঙ্গের চেহারা ? ঢাকা কি গত বাংলাদেশের সব কিছু কে  ভাবে ? এই সব প্রশ্নের উত্তর হলো "না" ।

অথচ এই শহর গুলি গত বাংলার ভবিষ্যত নির্ধারণে ব্যস্ত । আমি নিজে অনেক গ্রামে ঘুরেছি । অনেক শহরে ঘুরেছি । সেখানে একটা অতি সাধারণ মানুষ (এখানে সাধারণ বলতে আমি বোঝায় যে মধ্যবিত্ত মধ্যবয়েসী কেরানি মানসিকতার নয়) এর চরিত্র সব দেশে, সব কালে, সব সমাজে, সব ধর্মে, একদম একই রকম । অথচ নিজেদের যারা সাধারণ মানুষ বলে দাবি করে সেই স্বল্পবুদ্ধি মধ্যবিত্ত মধ্যবয়েসী কেরানি মানসিকতার শিকার মানুষগুলো আদপে একটা অন্য প্রজাতি । সমগ্র মানবজাতির সাথে তাদের কোনো মিল নাই । তাদের শুরু সাম্রাজ্যবাদের আর কলকারখানার বিকাশের সাথে । তাদের কাজ স্বার্থপরতা আর পরচর্চা । প্রশ্ন হচ্ছে তাদের ছাড়া কি সমাজ চলে না ? বা তারা সমাজের কতটুকু অংশ ? বর্তমান সমাজ তাদের ছাড়া চলে না । কারণ বর্তমান সমাজ বড় বেশি ভাবে আমলাতান্ত্রিক (burocratic)। আর এই আমলাতান্ত্রিক সমাজ শুধু সরকারী নয় বেসরকারী ক্ষেত্রেও । এরা সর্বত্র । এরা অবাধ । এরা বাবু । এরা রামগরুরের ছানা । দেশের  সাহিত্যিকদের দুর্ভাগ্য যে এই সব অদ্ভুদ জীবদের সমালোচনা করে এরা যত প্রবন্ধ, গল্প বা কবিতা লিখুক না কেন, সে সব পড়বে কিন্তু এই শ্রেনীর লোকেরাই । এবং তারা না বুঝেই এই নিয়ে বুলি কপচাবে । এবং সব থেকে দুঃক্ষজনক ব্যাপার হচ্ছে আমার এই লেখাটিও হয়ত এই সব শ্রেনীর লোকেদের হাতেই গিয়ে পড়বে ।

এই সমাজ কে পরিবর্তিত করার কি কোনো উপায় আছে ? হ্যা, আছে । উপায় হলো মাঝারি কে বড় বেশি জায়গা দিও না । ভালো থাক ও মন্দ থাক । মাঝারি কোনো কালেই উপরে উঠতে পারে না যোগ্যতার অভাবে । আবার নিচেও নামতে পারে না অতিরিক্ত অহংকারের বশে । তাই নাই বা রইলো মাঝারি । তাতে কি পৃথিবীর খুব বেশি কিছু ক্ষতি বৃদ্ধি হবে ? আজ ভারতে আম আদমী পার্টি হয়েছে । করা এই আম আদমী ? এরা কি তারা যাদের রান্নার গ্যাস এ ছার দরকার হয় ? নাকি আম আদমী তারা যাদের বাড়িতে দুবেলা হাঁড়ি চরে না ? কারা সংখ্যায় বেশি ? আমাদের কিসের জন্যে আন্দোলন ? লড়াই যদি করতেই হয় তবে সঠিক  কারণের জন্যে কর । পৃথিবীকে বাঁচানোর জন্যে লড়াই কর । রক্তপাত করার দরকার পড়বে না । মানুষের দুঃক্ষ দূর করার জন্যে যুদ্ধ হোক । এটম বম্ব বানানোর দরকার হবে না আর । কিন্তু এসব তো নতুন কথা নয় । আমার আগে অনেকে বলেছে । পরেও অনেকে বলবে । আসলে প্রত্যেকটা মানুষ আলাদা আলাদা ভাবে এই কথা গুলো জানে । তাহলে কেউ মানে না কেন ?

কেউ যদি এই প্রশ্নের উত্তর জেনে থাকে তাহলে যেন আমাকে জানায় ।

Monday, June 3, 2013

A letter removed

অনেক দিন ধরে শুধুই পড়ছি, কিন্তু কিছু লিখছি না । কেন জানিনা লেখার ও আঁকার উৎসাহটা  হারিয়ে ফেলেছি । আর এখন ব্লগে লিখতে গিয়ে আবিষ্কার করলাম যে এখানে কেন জানি না খন্ড ত (ৎ ) জিনিস টা সহজে লেখা যায় না । আমার নিজের নামের শেষে একটা বেশ বড় সর ৎ আছে (বড় সর বলছি কেননা আমি এটাকে বেশ বড় করে লিখি :P ); তাই যখন শুনি কেউ বলছে ৎ টা একটা বর্ণ যেটা বাংলা বর্ণমালা থেকে বাদ দেওয়া যায়, তখন মনটা ভারী খারাপ হয়ে যায় । ঠিক যেমন তুমি সারা বছর টীম এর সঙ্গে ঘুরেও একটিও খেলার সুযোগ না পেয়ে টীম থেকে বাদ পরে যাও বাজে (!) খেলার জন্যে, অনেকটা সেরকম ব্যাপার । কিছু বড় সর লোক বানান ভুল করছে বলে একটা বানানের রীতিটাই পাল্টে দাও -  এটা অত্যন্ত অন্যায় আবদার । তবে যুগের সাথে সবকিছুই যে পাল্টে যেতে বাধ্য সেটা তো ঠিক । কিন্তু এই পাল্টানোটা হওয়া উচিত ছিল একটা চিরন্তন প্রবাহের মধ্য দিয়ে, কারো খামখেয়ালীর জন্যে নয় । জানিনা এইটুকু লেখাতে আমি কত বানান ভুল করেছি, কিন্তু ছেলেবেলায় ভুল বানান ভুলের জন্যে মায়ের কাছে বকা খেয়ে যে দুঃখ হত, ৎ বাদ পরে গেলে হয়তো তার চেয়েও বেশি দুঃখ হবে । হয়তো  বলছি কারণ ততদিনে আমার এই ছোট্ট প্রেমটা আর নাও বেঁচে থাকতে পারে । আমি অন্য সবার মত বাংলায় নাম লিখতে ভুলে যেতে পারি । অনেকে বাঘা বাঙালির মত বাংলা ছেড়ে একটা অদ্ভুদ বাংলা, হিন্দি, ইংরেজি ও ইদানিং কালে তামিল মিশ্রিত ভাষায় কথা বলতে শিখে যেটা পারি ।
সত্যি ভাষা বড় অদ্ভুদ জিনিস । মানুষ ভাষা আবিষ্কার করেছিল মনের ভাব প্রকাশ করার জন্যে না মনের ভাব লুকিয়ে রাখার জন্যে সেটা নিয়ে সত্যি মাঝে মধ্যে খুব সন্দেহ হয় । কোন একটা কল্পবিজ্ঞানের গল্পে পরেছিলাম যে ভবিষ্যত পৃথিবীর ভাষা হয়েছে একটা ইংরেজি, আরবী, হিন্দি আর চৈনিক মিশ্রিত ভাষা । ভারত আর চীনের জনসংখ্যা ও মুসলিমদের প্রধান ভাষা । গল্পটা মনে নেই, কিন্তু এই ভাষার ব্যাপার টা খাপছাড়া ভাবেই মনে পরে গেল ভাষা নিয়ে লিখতে বসে ।
হায়! বাংলা ভাষা ! তোমারই জন্যে কিছু লোক রক্ত ঝরিয়েছিল !

Monday, January 7, 2013

On human nature

For long have I pondered on the nature of human beings. The self proclaimed civilized being on earth. The animal with a gift of a large brain and a pair of deft hands, that enabled us to rule over and destroy all life forms on earth and including our own kind. Yes, we can destroy the earth, too. With such great powers, we have great responsibilities of which we like to be oblivious. We could create and sustain but we also chose to destroy. This is the eternal truth of human nature. The contradiction and judgement. The continuous feud between the good and the evil inside that every human being has to fight, every living second. But what's the outcome?

The recent turn of events in Bengal, India and the world is grim. We are witnessing technological advancements and moral degradation at the same rate. We are witnessing the suffering and joy brought about by the actions of the entire human civilization that lived before us. And I see not much difference.

Is it really so true that the evil has increased four fold while the good has died? Or is it just that the technology has enabled us to hear more and see more of evil deeds than we could see or hear before? Or is it the population of 7 billion plus human is taking its toll on everything else around them? Are we at the brink of our extinction just like those great lizards that once roamed the vast marshes? Any of these questions would raise a typhoon in the tea cup of any intellectual Bengali. But would ever there be an answer?

When I started writing this blog years ago, I thought of filling the posts with small examples of human nature and their life. But soon things got diverted, as I could not alone gather so much of experience with my self centered life. Now once again after a couple of weeks break from my small world I'm interested in fulfilling my objective. So, let me go forth and collect experiences till I find an answer to all my questions. The final truth that we seek.

Monday, December 17, 2012

Catching cold - a different perspective

সর্দি একটা খুব বাজে জিনিস । মানুষের সর্দি হলে মানুষ কত কি না করে । ঘন ঘন রুমালে নাক ঝাড়ে । নাক বন্ধ হয়ে হাঁস ফাঁস করে । নাকি নাকি অদ্ভুদ ভাবে কথা বলে । তারপর অনেক অসুধ খায় । যদিও এক ডাক্তারকে বলতে শুনেছিলাম "অসুধ খেলে সর্দি ৭ দিনে সেরে যায়, না খেলে এই ১ সপ্তাহ লাগে ।" তবে যাই হোক সর্দি হলে মানুষ অন্তত আমাদের মত অসহায় হয়ে পড়ে না ।

ধর তোমার সর্দি হলো । তা তুমি তো ভাই তোমার শতকরা ৯০% তথ্য পাও চোখ দিয়ে দেখে । শুধু দু দিন গন্ধ পেলে না তাতে কি বা এমন এসে গেল । বরঞ্চ পঁচা ড্রেনের গন্ধ না পেয়ে বেঁচে গেলে । আর আমরা কুকুররা আমাদের বেশির ভাগ তথ্য পাই নাক দিয়ে শুঁকে । তোমরা তো জানোই আমাদের নাকের ক্ষমতার জোরে আমরা আজকাল পুলিশেও চাকরি করছি । ও বলতে ভুলে গেছি আমিও কিন্তু dog squad এর পুলিশ কুকুর । তো আমার মত কারো যদি সর্দি হয়, তাহলে ভাব তো কি বিপদ । একেবারে চোখ থাকিতেও অন্ধ দশা । তারপর আবার চাকরি নিয়ে টানাটানি । আমরা তো আবার তোমাদের মত ছুটির দরখাস্ত লিখতে পারি না ।

তাই সর্দি নিয়ে রোজকার মত আজও অফিস গেছি । গিয়ে দেখি একেবারে হুলুস্থুল কান্ড । কোথায় নাকি একটা বোমা আছে বলে জানা গেছে । কিন্তু বোমা আসলে কোথায় কেউ খুঁজে পাচ্ছে না । এবার আমাকে গিয়ে খুঁজে বার করতে হবে । এবার আমি কি করি ? সর্দি তে তো নাক বন্ধ । গন্ধ তেমন একটা পাচ্ছি না । বোমা খুঁজবো কি করে । নতুন জায়গা - গন্ধ না পেলে তো নিজেকেও খুঁজে পাব না ঠিকঠাক । কিছু একটা গোলমাল করে কেটে পড়ব কিনা ভাবছি তখন আমার হ্যান্ডলার (হ্যান্ডলার হলো একসঙ্গে আমাদের শিক্ষক, গাইড আর বন্ধু । ওরা আমাদের ভাষা মোটামুটি বুঝে ফেলে আর আমাদের সঙ্গে অন্য মানুষের দোভাষীর কাজটাও করে দেয় । আর আমার হ্যান্ডলার হলো রনি নামের দারুন একটি লোক) এসে পড়ল । এসে আমায় বোঝাতে লাগলো কি করে এক বাচ্চাদের স্কুলে এক সন্ত্রাসী একটি বোমা লুকিয়ে রেখেছে । বোমা খুঁজে বের করতে না পারলে তো সর্বনাশ ! এদিকে যে আমার আবার সর্দি । আর অন্য পুলিশ কুকুর যারা আমার বন্ধু তারাও আজ কোথায় একটা চলে গেছে । একেই বলে যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই সন্ধ্যা হয় ।

যাই হোক, "সর্দির পরওয়া করিনা । বাচ্চাদের জন্যে জীবন দিয়ে দেব ।" এসব ভেবে নিজেকে গরম করে নিলাম । তারপর আমার গুরুদেব সেই বিখ্যাত কুট্টুস (Snowy হলো ইংরেজি নাম) এর কথা ভাবতে ভাবতে এগিয়ে চললাম আমার রনির সাথে । 

স্কুলে পৌছে রনি আমায় ছেড়ে দিল বোমা খোঁজার জন্যে । আমি এগিয়ে তো গেলাম কিন্তু ভেবে পেলাম না বোমা খুঁজবো কি করে । আমি তো কোনো গন্ধই পাচ্ছি না । তবু এদিক ওদিক দুরে বেরিয়ে বোমাটা খোঁজার চেষ্টা করলাম । জানি কোনো লাভ নেই । অবশ্য একটা ভালো ব্যাপার হয়েছে এর মধ্যে । বাচ্চাদের সব স্কুল থেকে বের করে নিয়ে গেছে । তাই বোমা ফাটলে ওদের ভয় নেই । কিন্তু আমার কি হবে ? আর বাকি সব পুলিশের ? যদি বোমা খুঁজে না পাই ! আর কি বিতিকিচ্ছিরি ব্যাপার । বোমাটা যে কোথায় রেখেছে - কেউ কিছুতেই খুঁজে পাচ্ছে না ।

তো আমি খুঁজেই চলেছি । এদিক যাই ওদিক যাই । গত স্কুল এক চক্কর ঘোরা হয়ে গেল । দূর ছাই, আমরা এখান থেকে পালিয়ে যাই না কেন । তারপর যত খুশি বোমা ফাটুক, আমি তো আর মরব না । আমার বড় দুঃখ হলো রনির কথা ভেবে । বেচারা আমার জন্যে শেষকালে প্রাণটা হারাবে । ভাবতে ভাবতে হঠাত দেখি আমার সামনে একটা বাচ্চাদের বইয়ের ব্যাগ । আর তার ভেতর থেকে টিক টিক আওয়াজ আসছে । আর যাবি কোথায় । সঙ্গে সঙ্গে চিত্কার শুরু করলাম । সবাই ছুটে এলো । ব্যাগটা খুলে ফেলল । তারপর আমাদের বোমা স্পেশালিস্ট চিত্কার করে উঠলো, "সবাই পালাও । আর মাত্র ১০ সেকেন্ড পরে বোমা ফাটবে ।" সবাই পরি মরি করে ছুট দেব এমন সময় বোমা ফেটে গেল । আর তার ভেতর থেকে গলগল করে গরম জল বেরিয়ে এসে আমায় ভিজিয়ে দিল ।

অমা দেখি আমার সর্দি হয়েছে বলে রনি আমায় হট ওয়াটার বাথ দিচ্ছে । বোমা টমা কোথায় কি ! সব কি তাহলে স্বপ্ন ?