সে আসে ধীরে । হুমায়ুন আহমেদ এর লেখা একটি উপন্যাসের নাম । কিন্তু যখনি আমি এই নামটা শুনি আমার মাথায় একটাই প্রশ্ন রিন্ রিন্ করে বাজতে থাকে - "কে আসে ধীরে ?" আর তার সঙ্গে উত্তরটাও ভেসে আসে ফিস সিফ করে - "মৃত্যু"।
মৃত্যু কি শুধুই ধীরে আসে ? সে তো কখনো কখনো হঠাত এ পাশে এসে দাঁড়ায় । একটা হঠাত দুর্ঘটনা আর তারপর এই ইহলোক ছেড়ে অন্য কোনো খানে । কিন্তু আমার কেন যেন মনে হয় সে খুব ধীরে ধীরে আসে । এসে আমাদের পাশে দাঁড়িয়ে মিষ্টি করে হাসে । তাই আমরা জানতেও পারিনা সে এসেছিল । তারপর হঠাত যখন চলে যেতে হয় তখন মনে হয়ে ওর তো এত তাড়াতাড়ি আসার কথা ছিল না । কেন এলে ? আর কটা দিন বাঁচবার সাধ যে আমাদের সবার । তাই আমরা গল্প বানাই । বেঁচে থাকার গল্প । মরে গিয়েও বেঁচে থাকার গল্প । পরপারের গল্প । স্বর্গ আর নরকের গল্প । মৃত মানুষের ছায়া হয়ে ঘুরে বেড়ানোর গল্প ।
তাই আমরা মরেও অমর হয়ে থাকতে চাই । এই মানুষই পারে মিশরের রুক্ষ প্রান্তরে পিরামিড তৈরী করতে । এই মানুষই পারে পাথর কেটে মন্দির বানাতে । দেশ ঘিরে প্রাচীর বানাতে । নিজেদের প্রতিকৃতি খোদাই করতে যা শত সহস্র বছর ধরে নষ্ট হবে না । মৃত্যুর পরেও অমর করে রাখার মত কীর্তি বানাতে মানুষই তো দেশ বিদেশে ছুটে বেড়ায় । কিন্তু তবুও কি সব শেষ হয়ে যায় না ? প্রকৃতি কি একদিন সব মুছে দেয় না ? সব কিছু এক প্রবল সাইক্লোনের আঘাতে ভেঙ্গে চুরমার করে প্রকৃতি একাই জেগে থাকে । প্রমান করে দেয় যে মানুষ কত তুচ্ছ । তবুও মানুষ বাঁচে । অমর হতে চায় । সত্যের সন্ধান করে । তাই ঈশ্বরের স্বর্গ হতে বিতারিত হয় এই মানুষ ।
মহাভারতে যুধিষ্টির আর যক্ষের একটা গল্প আছে । যেখানে যক্ষ যুধিষ্টির কে জিজ্ঞেস করে জীবনের সব থেকে বড় সত্যি কি ? উত্তর তা হলো মৃত্যু । মৃত্যু জীবনের সব চেয়ে বড় সত্যি কিন্তু মানুষ এই সত্যি অবিশ্বাস করতে চায় । ভুলে থাকতে চায় । এবং ভুলে থাকে । আর যারা এই চরম সত্যিকে মেনে নিয়ে জীবনের পথে এগিয়ে যায় তারাই মহাপুরুষ হয়ে আমাদের মাঝে অমর হয়ে থাকে । একটা অদ্ভূত বৈপরীত্ব । এটাই ইশ্বরের সব থেকে বড় মায়া । যে মৃত্যুকে গ্রহণ করবে সেই মৃত্যুকে পরাজিত করবে । যে পালাতে চাইবে মৃত্যু নিজে তাকে গ্রহণ করবে । হ্যারি পটার এর গল্পের সেই তিন জাদুকরের গল্পের মত । যারা মৃত্যুকে আড়াল করতে গিয়ে পেল তিনটি অসাধারণ জাদুর জিনিস । কিন্তু তবুও মৃত্যু তাদের খুঁজে পেল ঠিকই ।
তাই মৃত্যু আসুক । বীরের মত বরণ করব তাকে । এস বন্ধু এস ।
মৃত্যু কি শুধুই ধীরে আসে ? সে তো কখনো কখনো হঠাত এ পাশে এসে দাঁড়ায় । একটা হঠাত দুর্ঘটনা আর তারপর এই ইহলোক ছেড়ে অন্য কোনো খানে । কিন্তু আমার কেন যেন মনে হয় সে খুব ধীরে ধীরে আসে । এসে আমাদের পাশে দাঁড়িয়ে মিষ্টি করে হাসে । তাই আমরা জানতেও পারিনা সে এসেছিল । তারপর হঠাত যখন চলে যেতে হয় তখন মনে হয়ে ওর তো এত তাড়াতাড়ি আসার কথা ছিল না । কেন এলে ? আর কটা দিন বাঁচবার সাধ যে আমাদের সবার । তাই আমরা গল্প বানাই । বেঁচে থাকার গল্প । মরে গিয়েও বেঁচে থাকার গল্প । পরপারের গল্প । স্বর্গ আর নরকের গল্প । মৃত মানুষের ছায়া হয়ে ঘুরে বেড়ানোর গল্প ।
তাই আমরা মরেও অমর হয়ে থাকতে চাই । এই মানুষই পারে মিশরের রুক্ষ প্রান্তরে পিরামিড তৈরী করতে । এই মানুষই পারে পাথর কেটে মন্দির বানাতে । দেশ ঘিরে প্রাচীর বানাতে । নিজেদের প্রতিকৃতি খোদাই করতে যা শত সহস্র বছর ধরে নষ্ট হবে না । মৃত্যুর পরেও অমর করে রাখার মত কীর্তি বানাতে মানুষই তো দেশ বিদেশে ছুটে বেড়ায় । কিন্তু তবুও কি সব শেষ হয়ে যায় না ? প্রকৃতি কি একদিন সব মুছে দেয় না ? সব কিছু এক প্রবল সাইক্লোনের আঘাতে ভেঙ্গে চুরমার করে প্রকৃতি একাই জেগে থাকে । প্রমান করে দেয় যে মানুষ কত তুচ্ছ । তবুও মানুষ বাঁচে । অমর হতে চায় । সত্যের সন্ধান করে । তাই ঈশ্বরের স্বর্গ হতে বিতারিত হয় এই মানুষ ।
মহাভারতে যুধিষ্টির আর যক্ষের একটা গল্প আছে । যেখানে যক্ষ যুধিষ্টির কে জিজ্ঞেস করে জীবনের সব থেকে বড় সত্যি কি ? উত্তর তা হলো মৃত্যু । মৃত্যু জীবনের সব চেয়ে বড় সত্যি কিন্তু মানুষ এই সত্যি অবিশ্বাস করতে চায় । ভুলে থাকতে চায় । এবং ভুলে থাকে । আর যারা এই চরম সত্যিকে মেনে নিয়ে জীবনের পথে এগিয়ে যায় তারাই মহাপুরুষ হয়ে আমাদের মাঝে অমর হয়ে থাকে । একটা অদ্ভূত বৈপরীত্ব । এটাই ইশ্বরের সব থেকে বড় মায়া । যে মৃত্যুকে গ্রহণ করবে সেই মৃত্যুকে পরাজিত করবে । যে পালাতে চাইবে মৃত্যু নিজে তাকে গ্রহণ করবে । হ্যারি পটার এর গল্পের সেই তিন জাদুকরের গল্পের মত । যারা মৃত্যুকে আড়াল করতে গিয়ে পেল তিনটি অসাধারণ জাদুর জিনিস । কিন্তু তবুও মৃত্যু তাদের খুঁজে পেল ঠিকই ।
তাই মৃত্যু আসুক । বীরের মত বরণ করব তাকে । এস বন্ধু এস ।
No comments:
Post a Comment
Write what u think