আমরা বাঙালি জাতি । তা থেকেই এস না কেন । বা যেখানেই থাক না কেন । তুমি বাঙালি । কিন্তু বাঙালিরা তা ভুলে যায় প্রতিদিন, প্রতিনিয়ত । তারা নিজেদের ক্ষুদ্র পরিচয়ের সৃষ্টি করে । ঘটি, বাঙাল, কামতাপুরি, এই জেলার, সে জেলার । তারপর এই গ্রাম সে গ্রাম । যেখানে জার্মানরা বার্লিন এর দেয়াল ভেঙ্গে দেশ জুড়ে দিল । সেখানে বাঙালি কিভাবে বাংলা ভাগ ব্যস্ত । হায় রে বাঙালি, তুই রইলি বাঙালি হয়ে - মানুষ হলি না । অথচ এই বাংলাতেই জন্মেছিলেন শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভু - যিনি জাতপাত সব ধুলোয় মিশিলে দিয়েছিলেন । লালন ফকির তো এই বাংলারই । এই বাংলাতেই তো বাউল এর জন্ম । রবীন্দ্রনাথ, নজরুল - যারা সব বাঙালির আপনজন, সে হিন্দু হোক বা মুসলিম, ঘটি হোক বা বাঙাল, উত্তরবঙ্গের হোক বা দক্ষিনবঙ্গের ।তারা তো আমাদের অনুপ্রেরণা হতে পারত । শুধু তাদের জন্ম আর মৃত্যু দিবস পালন না করে আমরা তো তাদের করতে পারতাম । কিন্তু পারিনি । কেন ?
এই কেনর উত্তর খুঁজতে গেলে বাঙালির ইতিহাস পড়তে হবে । জানতে হবে সত্যি আমরা বাঙালি কে যা ভাবছি আসলে কি তারা সেটুকুই । নাকি শুধু কলকাতা আর ঢাকার মানুষের চরিত্র বিশ্লেষণ করে আমরা গোটা বাংলার চরিত্র জানার চেষ্টা করছি । কলকাতার চেহারা কি গত পশ্চিমবঙ্গের চেহারা ? শিলিগুড়ির চেহারা কি গত উত্তরবঙ্গের চেহারা ? ঢাকা কি গত বাংলাদেশের সব কিছু কে ভাবে ? এই সব প্রশ্নের উত্তর হলো "না" ।
অথচ এই শহর গুলি গত বাংলার ভবিষ্যত নির্ধারণে ব্যস্ত । আমি নিজে অনেক গ্রামে ঘুরেছি । অনেক শহরে ঘুরেছি । সেখানে একটা অতি সাধারণ মানুষ (এখানে সাধারণ বলতে আমি বোঝায় যে মধ্যবিত্ত মধ্যবয়েসী কেরানি মানসিকতার নয়) এর চরিত্র সব দেশে, সব কালে, সব সমাজে, সব ধর্মে, একদম একই রকম । অথচ নিজেদের যারা সাধারণ মানুষ বলে দাবি করে সেই স্বল্পবুদ্ধি মধ্যবিত্ত মধ্যবয়েসী কেরানি মানসিকতার শিকার মানুষগুলো আদপে একটা অন্য প্রজাতি । সমগ্র মানবজাতির সাথে তাদের কোনো মিল নাই । তাদের শুরু সাম্রাজ্যবাদের আর কলকারখানার বিকাশের সাথে । তাদের কাজ স্বার্থপরতা আর পরচর্চা । প্রশ্ন হচ্ছে তাদের ছাড়া কি সমাজ চলে না ? বা তারা সমাজের কতটুকু অংশ ? বর্তমান সমাজ তাদের ছাড়া চলে না । কারণ বর্তমান সমাজ বড় বেশি ভাবে আমলাতান্ত্রিক (burocratic)। আর এই আমলাতান্ত্রিক সমাজ শুধু সরকারী নয় বেসরকারী ক্ষেত্রেও । এরা সর্বত্র । এরা অবাধ । এরা বাবু । এরা রামগরুরের ছানা । দেশের সাহিত্যিকদের দুর্ভাগ্য যে এই সব অদ্ভুদ জীবদের সমালোচনা করে এরা যত প্রবন্ধ, গল্প বা কবিতা লিখুক না কেন, সে সব পড়বে কিন্তু এই শ্রেনীর লোকেরাই । এবং তারা না বুঝেই এই নিয়ে বুলি কপচাবে । এবং সব থেকে দুঃক্ষজনক ব্যাপার হচ্ছে আমার এই লেখাটিও হয়ত এই সব শ্রেনীর লোকেদের হাতেই গিয়ে পড়বে ।
এই সমাজ কে পরিবর্তিত করার কি কোনো উপায় আছে ? হ্যা, আছে । উপায় হলো মাঝারি কে বড় বেশি জায়গা দিও না । ভালো থাক ও মন্দ থাক । মাঝারি কোনো কালেই উপরে উঠতে পারে না যোগ্যতার অভাবে । আবার নিচেও নামতে পারে না অতিরিক্ত অহংকারের বশে । তাই নাই বা রইলো মাঝারি । তাতে কি পৃথিবীর খুব বেশি কিছু ক্ষতি বৃদ্ধি হবে ? আজ ভারতে আম আদমী পার্টি হয়েছে । করা এই আম আদমী ? এরা কি তারা যাদের রান্নার গ্যাস এ ছার দরকার হয় ? নাকি আম আদমী তারা যাদের বাড়িতে দুবেলা হাঁড়ি চরে না ? কারা সংখ্যায় বেশি ? আমাদের কিসের জন্যে আন্দোলন ? লড়াই যদি করতেই হয় তবে সঠিক কারণের জন্যে কর । পৃথিবীকে বাঁচানোর জন্যে লড়াই কর । রক্তপাত করার দরকার পড়বে না । মানুষের দুঃক্ষ দূর করার জন্যে যুদ্ধ হোক । এটম বম্ব বানানোর দরকার হবে না আর । কিন্তু এসব তো নতুন কথা নয় । আমার আগে অনেকে বলেছে । পরেও অনেকে বলবে । আসলে প্রত্যেকটা মানুষ আলাদা আলাদা ভাবে এই কথা গুলো জানে । তাহলে কেউ মানে না কেন ?
কেউ যদি এই প্রশ্নের উত্তর জেনে থাকে তাহলে যেন আমাকে জানায় ।
এই কেনর উত্তর খুঁজতে গেলে বাঙালির ইতিহাস পড়তে হবে । জানতে হবে সত্যি আমরা বাঙালি কে যা ভাবছি আসলে কি তারা সেটুকুই । নাকি শুধু কলকাতা আর ঢাকার মানুষের চরিত্র বিশ্লেষণ করে আমরা গোটা বাংলার চরিত্র জানার চেষ্টা করছি । কলকাতার চেহারা কি গত পশ্চিমবঙ্গের চেহারা ? শিলিগুড়ির চেহারা কি গত উত্তরবঙ্গের চেহারা ? ঢাকা কি গত বাংলাদেশের সব কিছু কে ভাবে ? এই সব প্রশ্নের উত্তর হলো "না" ।
অথচ এই শহর গুলি গত বাংলার ভবিষ্যত নির্ধারণে ব্যস্ত । আমি নিজে অনেক গ্রামে ঘুরেছি । অনেক শহরে ঘুরেছি । সেখানে একটা অতি সাধারণ মানুষ (এখানে সাধারণ বলতে আমি বোঝায় যে মধ্যবিত্ত মধ্যবয়েসী কেরানি মানসিকতার নয়) এর চরিত্র সব দেশে, সব কালে, সব সমাজে, সব ধর্মে, একদম একই রকম । অথচ নিজেদের যারা সাধারণ মানুষ বলে দাবি করে সেই স্বল্পবুদ্ধি মধ্যবিত্ত মধ্যবয়েসী কেরানি মানসিকতার শিকার মানুষগুলো আদপে একটা অন্য প্রজাতি । সমগ্র মানবজাতির সাথে তাদের কোনো মিল নাই । তাদের শুরু সাম্রাজ্যবাদের আর কলকারখানার বিকাশের সাথে । তাদের কাজ স্বার্থপরতা আর পরচর্চা । প্রশ্ন হচ্ছে তাদের ছাড়া কি সমাজ চলে না ? বা তারা সমাজের কতটুকু অংশ ? বর্তমান সমাজ তাদের ছাড়া চলে না । কারণ বর্তমান সমাজ বড় বেশি ভাবে আমলাতান্ত্রিক (burocratic)। আর এই আমলাতান্ত্রিক সমাজ শুধু সরকারী নয় বেসরকারী ক্ষেত্রেও । এরা সর্বত্র । এরা অবাধ । এরা বাবু । এরা রামগরুরের ছানা । দেশের সাহিত্যিকদের দুর্ভাগ্য যে এই সব অদ্ভুদ জীবদের সমালোচনা করে এরা যত প্রবন্ধ, গল্প বা কবিতা লিখুক না কেন, সে সব পড়বে কিন্তু এই শ্রেনীর লোকেরাই । এবং তারা না বুঝেই এই নিয়ে বুলি কপচাবে । এবং সব থেকে দুঃক্ষজনক ব্যাপার হচ্ছে আমার এই লেখাটিও হয়ত এই সব শ্রেনীর লোকেদের হাতেই গিয়ে পড়বে ।
এই সমাজ কে পরিবর্তিত করার কি কোনো উপায় আছে ? হ্যা, আছে । উপায় হলো মাঝারি কে বড় বেশি জায়গা দিও না । ভালো থাক ও মন্দ থাক । মাঝারি কোনো কালেই উপরে উঠতে পারে না যোগ্যতার অভাবে । আবার নিচেও নামতে পারে না অতিরিক্ত অহংকারের বশে । তাই নাই বা রইলো মাঝারি । তাতে কি পৃথিবীর খুব বেশি কিছু ক্ষতি বৃদ্ধি হবে ? আজ ভারতে আম আদমী পার্টি হয়েছে । করা এই আম আদমী ? এরা কি তারা যাদের রান্নার গ্যাস এ ছার দরকার হয় ? নাকি আম আদমী তারা যাদের বাড়িতে দুবেলা হাঁড়ি চরে না ? কারা সংখ্যায় বেশি ? আমাদের কিসের জন্যে আন্দোলন ? লড়াই যদি করতেই হয় তবে সঠিক কারণের জন্যে কর । পৃথিবীকে বাঁচানোর জন্যে লড়াই কর । রক্তপাত করার দরকার পড়বে না । মানুষের দুঃক্ষ দূর করার জন্যে যুদ্ধ হোক । এটম বম্ব বানানোর দরকার হবে না আর । কিন্তু এসব তো নতুন কথা নয় । আমার আগে অনেকে বলেছে । পরেও অনেকে বলবে । আসলে প্রত্যেকটা মানুষ আলাদা আলাদা ভাবে এই কথা গুলো জানে । তাহলে কেউ মানে না কেন ?
কেউ যদি এই প্রশ্নের উত্তর জেনে থাকে তাহলে যেন আমাকে জানায় ।