সর্দি একটা খুব বাজে জিনিস । মানুষের সর্দি হলে মানুষ কত কি না করে । ঘন ঘন রুমালে নাক ঝাড়ে । নাক বন্ধ হয়ে হাঁস ফাঁস করে । নাকি নাকি অদ্ভুদ ভাবে কথা বলে । তারপর অনেক অসুধ খায় । যদিও এক ডাক্তারকে বলতে শুনেছিলাম "অসুধ খেলে সর্দি ৭ দিনে সেরে যায়, না খেলে এই ১ সপ্তাহ লাগে ।" তবে যাই হোক সর্দি হলে মানুষ অন্তত আমাদের মত অসহায় হয়ে পড়ে না ।
ধর তোমার সর্দি হলো । তা তুমি তো ভাই তোমার শতকরা ৯০% তথ্য পাও চোখ দিয়ে দেখে । শুধু দু দিন গন্ধ পেলে না তাতে কি বা এমন এসে গেল । বরঞ্চ পঁচা ড্রেনের গন্ধ না পেয়ে বেঁচে গেলে । আর আমরা কুকুররা আমাদের বেশির ভাগ তথ্য পাই নাক দিয়ে শুঁকে । তোমরা তো জানোই আমাদের নাকের ক্ষমতার জোরে আমরা আজকাল পুলিশেও চাকরি করছি । ও বলতে ভুলে গেছি আমিও কিন্তু dog squad এর পুলিশ কুকুর । তো আমার মত কারো যদি সর্দি হয়, তাহলে ভাব তো কি বিপদ । একেবারে চোখ থাকিতেও অন্ধ দশা । তারপর আবার চাকরি নিয়ে টানাটানি । আমরা তো আবার তোমাদের মত ছুটির দরখাস্ত লিখতে পারি না ।
তাই সর্দি নিয়ে রোজকার মত আজও অফিস গেছি । গিয়ে দেখি একেবারে হুলুস্থুল কান্ড । কোথায় নাকি একটা বোমা আছে বলে জানা গেছে । কিন্তু বোমা আসলে কোথায় কেউ খুঁজে পাচ্ছে না । এবার আমাকে গিয়ে খুঁজে বার করতে হবে । এবার আমি কি করি ? সর্দি তে তো নাক বন্ধ । গন্ধ তেমন একটা পাচ্ছি না । বোমা খুঁজবো কি করে । নতুন জায়গা - গন্ধ না পেলে তো নিজেকেও খুঁজে পাব না ঠিকঠাক । কিছু একটা গোলমাল করে কেটে পড়ব কিনা ভাবছি তখন আমার হ্যান্ডলার (হ্যান্ডলার হলো একসঙ্গে আমাদের শিক্ষক, গাইড আর বন্ধু । ওরা আমাদের ভাষা মোটামুটি বুঝে ফেলে আর আমাদের সঙ্গে অন্য মানুষের দোভাষীর কাজটাও করে দেয় । আর আমার হ্যান্ডলার হলো রনি নামের দারুন একটি লোক) এসে পড়ল । এসে আমায় বোঝাতে লাগলো কি করে এক বাচ্চাদের স্কুলে এক সন্ত্রাসী একটি বোমা লুকিয়ে রেখেছে । বোমা খুঁজে বের করতে না পারলে তো সর্বনাশ ! এদিকে যে আমার আবার সর্দি । আর অন্য পুলিশ কুকুর যারা আমার বন্ধু তারাও আজ কোথায় একটা চলে গেছে । একেই বলে যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই সন্ধ্যা হয় ।
যাই হোক, "সর্দির পরওয়া করিনা । বাচ্চাদের জন্যে জীবন দিয়ে দেব ।" এসব ভেবে নিজেকে গরম করে নিলাম । তারপর আমার গুরুদেব সেই বিখ্যাত কুট্টুস (Snowy হলো ইংরেজি নাম) এর কথা ভাবতে ভাবতে এগিয়ে চললাম আমার রনির সাথে ।
স্কুলে পৌছে রনি আমায় ছেড়ে দিল বোমা খোঁজার জন্যে । আমি এগিয়ে তো গেলাম কিন্তু ভেবে পেলাম না বোমা খুঁজবো কি করে । আমি তো কোনো গন্ধই পাচ্ছি না । তবু এদিক ওদিক দুরে বেরিয়ে বোমাটা খোঁজার চেষ্টা করলাম । জানি কোনো লাভ নেই । অবশ্য একটা ভালো ব্যাপার হয়েছে এর মধ্যে । বাচ্চাদের সব স্কুল থেকে বের করে নিয়ে গেছে । তাই বোমা ফাটলে ওদের ভয় নেই । কিন্তু আমার কি হবে ? আর বাকি সব পুলিশের ? যদি বোমা খুঁজে না পাই ! আর কি বিতিকিচ্ছিরি ব্যাপার । বোমাটা যে কোথায় রেখেছে - কেউ কিছুতেই খুঁজে পাচ্ছে না ।
তো আমি খুঁজেই চলেছি । এদিক যাই ওদিক যাই । গত স্কুল এক চক্কর ঘোরা হয়ে গেল । দূর ছাই, আমরা এখান থেকে পালিয়ে যাই না কেন । তারপর যত খুশি বোমা ফাটুক, আমি তো আর মরব না । আমার বড় দুঃখ হলো রনির কথা ভেবে । বেচারা আমার জন্যে শেষকালে প্রাণটা হারাবে । ভাবতে ভাবতে হঠাত দেখি আমার সামনে একটা বাচ্চাদের বইয়ের ব্যাগ । আর তার ভেতর থেকে টিক টিক আওয়াজ আসছে । আর যাবি কোথায় । সঙ্গে সঙ্গে চিত্কার শুরু করলাম । সবাই ছুটে এলো । ব্যাগটা খুলে ফেলল । তারপর আমাদের বোমা স্পেশালিস্ট চিত্কার করে উঠলো, "সবাই পালাও । আর মাত্র ১০ সেকেন্ড পরে বোমা ফাটবে ।" সবাই পরি মরি করে ছুট দেব এমন সময় বোমা ফেটে গেল । আর তার ভেতর থেকে গলগল করে গরম জল বেরিয়ে এসে আমায় ভিজিয়ে দিল ।
অমা দেখি আমার সর্দি হয়েছে বলে রনি আমায় হট ওয়াটার বাথ দিচ্ছে । বোমা টমা কোথায় কি ! সব কি তাহলে স্বপ্ন ?
ধর তোমার সর্দি হলো । তা তুমি তো ভাই তোমার শতকরা ৯০% তথ্য পাও চোখ দিয়ে দেখে । শুধু দু দিন গন্ধ পেলে না তাতে কি বা এমন এসে গেল । বরঞ্চ পঁচা ড্রেনের গন্ধ না পেয়ে বেঁচে গেলে । আর আমরা কুকুররা আমাদের বেশির ভাগ তথ্য পাই নাক দিয়ে শুঁকে । তোমরা তো জানোই আমাদের নাকের ক্ষমতার জোরে আমরা আজকাল পুলিশেও চাকরি করছি । ও বলতে ভুলে গেছি আমিও কিন্তু dog squad এর পুলিশ কুকুর । তো আমার মত কারো যদি সর্দি হয়, তাহলে ভাব তো কি বিপদ । একেবারে চোখ থাকিতেও অন্ধ দশা । তারপর আবার চাকরি নিয়ে টানাটানি । আমরা তো আবার তোমাদের মত ছুটির দরখাস্ত লিখতে পারি না ।
তাই সর্দি নিয়ে রোজকার মত আজও অফিস গেছি । গিয়ে দেখি একেবারে হুলুস্থুল কান্ড । কোথায় নাকি একটা বোমা আছে বলে জানা গেছে । কিন্তু বোমা আসলে কোথায় কেউ খুঁজে পাচ্ছে না । এবার আমাকে গিয়ে খুঁজে বার করতে হবে । এবার আমি কি করি ? সর্দি তে তো নাক বন্ধ । গন্ধ তেমন একটা পাচ্ছি না । বোমা খুঁজবো কি করে । নতুন জায়গা - গন্ধ না পেলে তো নিজেকেও খুঁজে পাব না ঠিকঠাক । কিছু একটা গোলমাল করে কেটে পড়ব কিনা ভাবছি তখন আমার হ্যান্ডলার (হ্যান্ডলার হলো একসঙ্গে আমাদের শিক্ষক, গাইড আর বন্ধু । ওরা আমাদের ভাষা মোটামুটি বুঝে ফেলে আর আমাদের সঙ্গে অন্য মানুষের দোভাষীর কাজটাও করে দেয় । আর আমার হ্যান্ডলার হলো রনি নামের দারুন একটি লোক) এসে পড়ল । এসে আমায় বোঝাতে লাগলো কি করে এক বাচ্চাদের স্কুলে এক সন্ত্রাসী একটি বোমা লুকিয়ে রেখেছে । বোমা খুঁজে বের করতে না পারলে তো সর্বনাশ ! এদিকে যে আমার আবার সর্দি । আর অন্য পুলিশ কুকুর যারা আমার বন্ধু তারাও আজ কোথায় একটা চলে গেছে । একেই বলে যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই সন্ধ্যা হয় ।
যাই হোক, "সর্দির পরওয়া করিনা । বাচ্চাদের জন্যে জীবন দিয়ে দেব ।" এসব ভেবে নিজেকে গরম করে নিলাম । তারপর আমার গুরুদেব সেই বিখ্যাত কুট্টুস (Snowy হলো ইংরেজি নাম) এর কথা ভাবতে ভাবতে এগিয়ে চললাম আমার রনির সাথে ।
স্কুলে পৌছে রনি আমায় ছেড়ে দিল বোমা খোঁজার জন্যে । আমি এগিয়ে তো গেলাম কিন্তু ভেবে পেলাম না বোমা খুঁজবো কি করে । আমি তো কোনো গন্ধই পাচ্ছি না । তবু এদিক ওদিক দুরে বেরিয়ে বোমাটা খোঁজার চেষ্টা করলাম । জানি কোনো লাভ নেই । অবশ্য একটা ভালো ব্যাপার হয়েছে এর মধ্যে । বাচ্চাদের সব স্কুল থেকে বের করে নিয়ে গেছে । তাই বোমা ফাটলে ওদের ভয় নেই । কিন্তু আমার কি হবে ? আর বাকি সব পুলিশের ? যদি বোমা খুঁজে না পাই ! আর কি বিতিকিচ্ছিরি ব্যাপার । বোমাটা যে কোথায় রেখেছে - কেউ কিছুতেই খুঁজে পাচ্ছে না ।
তো আমি খুঁজেই চলেছি । এদিক যাই ওদিক যাই । গত স্কুল এক চক্কর ঘোরা হয়ে গেল । দূর ছাই, আমরা এখান থেকে পালিয়ে যাই না কেন । তারপর যত খুশি বোমা ফাটুক, আমি তো আর মরব না । আমার বড় দুঃখ হলো রনির কথা ভেবে । বেচারা আমার জন্যে শেষকালে প্রাণটা হারাবে । ভাবতে ভাবতে হঠাত দেখি আমার সামনে একটা বাচ্চাদের বইয়ের ব্যাগ । আর তার ভেতর থেকে টিক টিক আওয়াজ আসছে । আর যাবি কোথায় । সঙ্গে সঙ্গে চিত্কার শুরু করলাম । সবাই ছুটে এলো । ব্যাগটা খুলে ফেলল । তারপর আমাদের বোমা স্পেশালিস্ট চিত্কার করে উঠলো, "সবাই পালাও । আর মাত্র ১০ সেকেন্ড পরে বোমা ফাটবে ।" সবাই পরি মরি করে ছুট দেব এমন সময় বোমা ফেটে গেল । আর তার ভেতর থেকে গলগল করে গরম জল বেরিয়ে এসে আমায় ভিজিয়ে দিল ।
অমা দেখি আমার সর্দি হয়েছে বলে রনি আমায় হট ওয়াটার বাথ দিচ্ছে । বোমা টমা কোথায় কি ! সব কি তাহলে স্বপ্ন ?